বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ বর্তমান সরকারের সময়ে প্রণয়ন ও জাতীয় সংসদে পাস করা হয়। জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর আলোকে ২০১২ সালে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করে নতুন আঙ্গিকে বিশ্বের উন্নত দেশের সাথে সামঞ্জস্য বিধানের প্রয়াসে শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে। নতুন শিক্ষানীতি ও শিক্ষাক্রমের আলোকে পাঠ্য বই প্রণয়ন করা হয়। যা ২০১৩ সাল থেকে পাঠ্য বই হিসেবে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে। ২০১০ সাল থেকে সরকার ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে। সরকার মাধ্যমিক স্তরের ২০১০ সালে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৯৩৭২৫৪টি বই বিতরণ করেছিল। ২০১৭ সালে মাধ্যমিক স্তরের ঝিনাইদহ জেলায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩০২১৭৭৩ বই বিতরণ করা হয়। ঝিনাইদহ জেলায় ২০০৯ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষকদের মানোন্নয়নের লক্ষে প্রশিক্ষণ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে জেলা শিক্ষা অফিস মোট ৩৩২২ জন, ৪০ জন এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, খুলনা ৪০ জন প্রধান শিক্ষককে বিভিন্ন মেয়াদে প্রশিক্ষণ করেছে। বর্তমান সরকারের আমলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে শিক্ষাদান প্রচলন শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে ঝিনাইদহ জেলায় ৩৮১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া ও ল্যাপটপ প্রদান করা হয়।ঝিনাইদহ জেলাতে মাধ্যমিক পর্যায়ে মোট ৪৭৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।এর মধ্যে বিদ্যালয় ২৮০(সরকারী-৪),কলেজ-৬৯(সরকারী-৭),মাদ্রাসা-১১৭ ও কারিগরি ১০।এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট ৭২১৮ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ১৯৭৪৭৭ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।